২ বছরেও শুরু হয়নি পর্যটন কেন্দ্র দুটির মূল কাজ

কর্তৃক TzuqiivcDuX
০ মন্তব্য ৬৯ ভিউস

নানান জটিলতায় আটকে আছে দেশের দুটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল কাজ। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে দুই বছরেরও বেশি সময়। কাজ শুরু নাহলেও ব্যয় বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প দুটি হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ এবং বরিশাল জেলার দুর্গাসাগড় দিঘী এলাকায় পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন প্রকল্প।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এই প্রকল্প দুটির পিআইসি ( প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পর্যটন করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মহানন্দায় শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এটি অনুমোদন দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পিআইসি সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, প্রকল্পটি অনুমোদনের পরবর্তী ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় গণপূর্ত অধিদফতরকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্পের অধীনে ৪৪ দশমিক ৫১ একর জমি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে বাপকের অনুকূলে বন্দোবস্ত করা হয়। জমির চারপাশে পিলার স্থাপন, গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্যমে পিলার নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নদী রক্ষা কমিশন ও স্থানীয় জনগণের মামলা করার কারণে দরপত্র স্থগিত করা হয়। মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হলে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ১৫ নভেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রকল্পের ভৌত কাজ পুনরায় শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার সর্বশেষ অবস্থা অবহিত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছিল।

banner

এর প্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালক পিআইসি সভায় জানান, ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দরপত্রের জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর গণপূর্ত অধিদফতরকে পুনরায় পত্রের মাধ্যমে কাজ শুরুর অনুরাধ জানানো হয়। এ অবস্থায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বরিশাল জেলার দুর্গাসাগড় দিঘী এলাকায় পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পিআইসি সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ডিপিপি অনুমোদন পরবর্তী দূর্গাসাগর দীঘির পরিত্যক্ত ভূমিতে পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে জমি চিহ্নিতকরণসহ সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী) পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পটি ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদফতরের মাধ্য বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয় এবং স্থাপত্য অধিদফতরের মাধ্যমে মূল ডিপিপি অনুযায়ী ড্রইং, ডিজাইন ও গণপূর্ত অধিদফতর কর্তৃক প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। এই প্রাক্কলন অনুযায়ী অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় দাঁড়ায়। ভূমি উন্নয়নসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রাশাসনিক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই আন্তঃখাত সমন্বয় করা হয়। এতে একই ব্যয় ধরে মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। গত বছরের ১৫ জুলাই প্রকল্পের ডিপোর্জিট ওয়ার্কের আওতায় কাজ শুরু করতে গণপূর্ত অধিদফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই নকশা তৈরির কাজ শেষ করেছে স্থাপত্য অধিদফতর। ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস বলেন, সঠিক সময়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনেক সময় নির্ভর করছে চাহিদা অনুযায়ী টাকা প্রাপ্তির উপর। আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়। যদি যথাযথভাবে বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে আর সমস্যা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন করে ব্যয় হয়তো বাড়বে না। তবে টাকা পাওয়া না গেলে মেয়াদ বাড়তে পারে।

You may also like

Leave a Comment

Meherpurer Alo: Your trusted source for timely, accurate, and insightful news from Meherpur and beyond.

প্রকাশক ও সম্পাদক

প্রধান সম্পাদকঃ জনাব হাজী মোঃ আলফাজ উদ্দিন
প্রধান উপদেষ্টাঃ জনাব মোঃ আলা উদ্দিন( আলা)

প্রধান প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জনাব মোঃ জাকির হোসেন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ জনাব মোঃ সেলিম রেজা
আইন বিষয়ক সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান (জিল্লু)
বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ মাহবুল ইসলাম

সর্বশেষ পোস্ট

© ২০২৫ মেহেরপুরের আলো । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
কারিগরি সহযোগিতাঃ দেশি হোস্টিং, আমঝুপি, মেহেরপুর।